Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে এওজবালিয়া ইউনিয়ন

ভৌগোলিক অবস্থানঃ নোয়াখালী সদর উপজেলার অন্তর্গত ৮নং এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয় ১৯৬০ সালে। ৮নং এওজবালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণে চর জব্বর ইউনিয়ন, উত্তরে নোয়ান্নই ও বিনোদপুর ইউনিয়ন, পূর্বে নোয়াখালী ইউনিয়ন, পশ্চিমে কালাদরাপ ও দাদপুর ইউনিয়ন অবস্থিত।

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বঃ

আবদুল মালেক উকিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সংসদের স্পিকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন।

জন্ম: ০১লা অক্টোবর, ১৯২৪-রাজাপুর,নোয়াখালী।
মৃত্যু: ১৭ই  অক্টোবর, ১৯৮৭- শে.রে.বাংলা নগর,ঢাকা।

পিতার নাম: মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ মুন্সী চান্দ মিয়া ও মায়ের নাম: মরহুমা নুরুননেছা।

শিক্ষা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-রাষ্ট্র বিজ্ঞান,এল.এল.বি।দল: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

১. নাম                     : ৮নং এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ।

২. আয়তন                : ৪১.৪৪ বর্গ কিঃ মিঃ

৩. খানার সংখ্যা         : ১০,০৩৮টি

৪. লোকসংখ্যা            : পুরুষ-৪৩,৫৪৪, নারী-৩৯,৭৭৭;

               সর্ব মোট- ৮৩,৩৬৫ জন (জন্ম রেজিষ্ট্রার অনুযায়ী)

৫. ভোটার সংখ্যা        : পুরুষ-১৭,৪৯২ জন

                      মহিলা-১৬,১৫৭ জন

                      মোট ভোটার সংখ্যা-৩৩,৬৪৯ (২০১৮ ভোটার তথ্য অনুযায়ী)

৬. গ্রামের সংখ্যা                        : ১৬ টি।

৭. মৌজার সংখ্যা                       : ১৬ টি।

৮.হাট/বাজার সংখ্যা                  : ০৯ টি।

৯.স্বাক্ষরতার হার                      :  নারী ২৮.১৯%

                                              পুরুষ ৩৭.১১%

                                              সর্ব মোট ৬৫.৩০% (২০০১ এর শিক্ষা জরীপ অনুযায়ী)

১০.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-  ১০টি

 রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়-             ০৪টি

 উচ্চ বিদ্যালয়-                             ০৩ টি

 দাখিল মাদ্রাসা-                           ০৪টি

 জুনিয়র মাদ্রাসা-                         ০৮টি

    এবতেদায়ি মাদ্রাসা-                    ১০টি

    ফোরকানিয়া মাদ্রাসা-                 ৭৩টি

১১.ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানঃ   মসজিদ-          ১২০টি

    গির্জা-                                       ০১টি

      মন্দির-                                     ০১টি

১২.কৃষি ভূমিঃ                                   ৮৫১৭.০১ একর

১৩.জলজ সম্পদঃ খাল-                       ০৯টি

   খাস পুকুর-                                   ০৩টি

১৪.যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ     পাকা রাস্তা-   ৫৫ কিলোমিটার

  সেমি পাকা রাস্তা-                             ১৫ কিলোমিটার

  কাঁচা রাস্তা-                                    ১৪৫ কিলোমিটার

১৫.সরকারী/বেসরকারী অফিসঃ পোস্ট অফিস-  ৪টি

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-                          ১টি

কমিউনিটি ক্লিনিক-                                 ৬টি

ইউনিয়ন পশু প্রজনন কেন্দ্র-                      ১টি

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার-                      ১টি

ইউনিয়ন ভুমি অফিস-                             ১টি

ইউনিয়ন কৃষি অফিস-                             ১টি

         এলজিইডি অফিস-                          ১টি

         প্রাথমিক শিক্ষা অফিস-                    ১টি

১৬. দায়িত্বরত চেয়াররম্যান:  জনাব, মোঃ বেলাল হোসেন

১৭. দায়িত্বরত ইউ.পি সদস্যবৃন্দ: জনাবা, মনোয়ারা বেগম (সংরক্ষিত মহিলা আসন-১,২,৩)

                   জনাবা, জাহানারা বেগম (সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪,৫,৯)

                   জনাবা, বিউটি আক্তার (সংরক্ষিত মহিলা আসন-৬,৭,৮)

                   জনাব, মোঃ কবির হোসেন-সদস্য ১নং ওয়ার্ড

                   জনাব, মোঃ গিয়াস উদ্দিন-সদস্য ২নং ওয়ার্ড

                   জনাব, দুলাল মিয়া-সদস্য ৩নং ওয়ার্ড

                   জনাব, মোহাম্মদ মজিবুল হক-সদস্য ৪নং ওয়ার্ড

                   জনাব, মহিউদ্দিন-সদস্য ৫নং ওয়ার্ড

                   জনাব, নুরুল আমিন- সদস্য ৬নং ওয়ার্ড

                   জনাব, মোঃ বেলাল হোসেন-সদস্য ৭নং ওয়ার্ড

                   জনাব, ইব্রাহিম খলিল- সদস্য ৮নং ওয়ার্ড

                   জনাব, মোঃ ইউসুফ- সদস্য ৯নং ওয়ার্ড

১৮. ব্যাংক: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক,এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক,এজেন্ট ব্যাংক:- ব্যাংক এশিয়া, অগ্রণী, সোস্যাল ইসলামী ও ডাচ বাংলা ব্যাংক।

১৯. গ্রাম সমূহের নামঃ – রাজাপুর, রামচন্দ্রপুর,মনপুর, নন্দনপুর,জুনুদপুর, করিমপুর,সৈয়দপুর, নয়নপুর, পূর্ব এওবালিয়া,দঃ ফকিরপুর,

    পশ্চিম এওজবালিয়,চর করমূল্যা, চাড়ৃবানু,পুর্ব চাকলা,চর শুল্লুকিয়া, দক্ষিন শুল্লুকিয়া।

২০. ইউনিয়ন পরিষদ জনবলঃ –

নির্বাচিত পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য  সংখ্যা - ১৩ জন।

ইউনিয়ন পরিষদ সচিব                              - ০১ জন।

ইউনিয়ন দফাদার ও গ্রাম পুলিশ                   - ০৮ জন।

     বিবাহ রেজিঃ-                                      - ০১ জন|

            উদ্যোক্তা                                      -০২ জন।

            নৈশ প্রহরী                                   -০১ জন।

ইউনিয়ন পরিষদ পটভূমি এবং ক্রমবিকাশঃ
ব্রিটিশদের আগমনের আগে তাৎকালীন স্থানীয় সরকার পদ্ধতি কিরূপ হয়, সেম্পেকে খুব একটা নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। '' পণ্ডিতদের মনে মনে গ্রামগুলিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। অধিকাংশ গ্রামে পঞ্চায়েত প্রথা প্রচলিত আছে। পাঁচটি গ্রামে গ্রামীন জনগোষ্ঠী বয়স্ক লোকজন পঞ্চায়েত গঠিত হয় পঞ্চায়েতগুলির দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেই সম্পদ আহরণ করা, পঞ্চায়েতে বা গ্রামের শাসকগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে নিষ্ঠা সহকারে কাজ করতেন। জনসাধারণের মতামত ভিত্তিক সামাজিক প্রয়োজনে স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েত প্রথা বিবর্তন ঘটেছে। অতএব এগুলির কোনও আইনগত ভিত্তি আছে না ৈতিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কারণে এবং পল্লী অঞ্চলে বৃটিশদের ভিত্তি আরও দৃঢ় করার জন্য লর্ড মেয়ো এর আমলে ১৮৭০ সালে গ্রাম চৌকিদারী আইন পাশ হয়। এর ফলে প্রথমবারের মত পল্লী অঞ্চলে আইনগত ভিত্তির মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব হয় এবং পঞ্চায়েত প্রথার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এ আইন অধীনে পল্লী অঞ্চল ইউনিয়ন বিভক্ত করা হয়। কয়েকটি গ্রামে ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত এবং প্রতিটি ইউনিয়নে চৌকিদারি পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ছিল পাঁচ জন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পঞ্চায়েতের সকল সদস্যকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। যদি কোনও নিয়োগকৃত সদস্যের পদ গ্রহণ অস্বীকৃতি জানাতেন তাহলে তাকে ৫০.০০ টাকা (পাঁচশ টাকা) জরিমানা দিতে হবে। পঞ্চায়েতের দায়িত্ব হলো শান্তি-শৃংখলা রক্ষার্থে চৌকিদারের নিয়োগ রক্ষা করা এবং চৌকিদার কর আদায়ের মাধ্যমে চৌকিদারদের বেতনের ব্যবস্থা করা।

কয়েকটি গ্রামের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এর সদস্য সংখ্যা আছে ৫ থেকে ৯ জন এবং সদস্যদের গ্রামবাসী দ্বারা নির্বাচিত সুনির্দিষ্ট কোন কাজ না হলে কমিটি রাস্তা নির্মাণ, জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ এবং প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ সুবিধা তত্ত্বাবধান করা হবে। যদিও এই তদারকি খরচ মেটানোর জন্য গ্রামবাসীরা (তাদের বাড়ি বা সম্পত্তি আছে) থেকে তহবিল গঠন ক্ষমতা পাওয়ার নিকট আছে প্রদান করা হয়। যাইহোক এইগুলি মূলত: জেলা বোর্ডের অনুদান উপর নির্ভরশীল ছিল। ফলে এগুলি জেলা বোর্ড এজেন্ট হিসাবে কাজ করে।

কর আদায় ক্ষমতা ক্ষমতা না থাকার কারণে আর্থিক দুর্বলতা এগুলি কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও, ইউনিয়ন কমিটি পাশাপাশী চৌকিদারি পঞ্চায়েত কাজ করতো। এতে পঞ্চায়েত গ্রামবাসীদের নিকট থেকে কর আদায় করা হয়। এর ফলে পল্লী অঞ্চলে দ্বৈতশাসনের অসুবিধাগুলি প্রকট ভাবে দেখা যায়। ১৯১৯ সালে বঙ্গীয় পল্লী স্বায়ত্তশাসন আইনের অধীনে চৌকিদার পঞ্চায়েত এবং ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করা ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। মোট সদস্যের এক-তৃতীয়াংশ সরকার পক্ষের জেলা প্রশাসক মনোনয়ন দান এবং অবশিষ্ট সদস্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে। সদস্য তাদের মধ্য থেকে প্রেসিডেন্ট এবং একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত। ইউনিয়ন বোর্ডের প্রধান কাজ আছে নিরাপত্তা বিধান, রাস্তা এবং পুল / কালভাবাট তৈরি, স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান দাতব্য চিকিৎসালয় ও স্কুল সংরক্ষণ, জল সরবরাহ ব্যবস্থা এবং জেলা বোর্ড প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা। ইউনিয়ন বোর্ডে ইউনিয়ন রেট মোশন এবং ছোট খাট ফৌজদারি অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এর কার্যকাল প্রথম ১৯১৯ সাল থেকে ৩ বছর এবং ১৯৩৬ থেকে ৪ বছর এবং মনোনয়ন প্রথা ১৯৪৬ বাতিল করা হয়। ইউনিয়ন বোর্ডের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে সংরক্ষিত ভোটাধিকার, রাষ্ট্রপতি ও ভাইস-প্রসিকিউটর নির্বাচন পদ্ধতি এবং জেলা পরিষদ উপর আর্থিক প্রতিবন্ধকতা প্রধান।

মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ, ১৯৫৯ এর অধীনে ইউনিয়ন বোর্ডের নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন কাউন্সিল এবং এর গঠন, কর্ম এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার বেশ পরিবর্তন ঘটে। গড় ১০,০০০ (দশ হাজার) লোক বসবাসকারী এলাকার সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য সমন্বয় ইউনিয়ন কাউন্সিল গঠন করা হয়। মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ কর্তৃক নিযুক্ত করা এবং মহাকুমা প্রশাসক সরকারের পক্ষ থেকে অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ সদস্য মনোনয়ন দান করা হয়। 196২ সালে শাসনতন্ত্র প্রবর্তনের ফলে মনোনয়ন প্রথা বাতিল করা হয়। সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস-চেম্বারের নির্বাচিত হন। কিন্তু ১৯৬৩ সালে ভাইস-চার্মম্যান নির্বাচন করেন। কিন্তু ১৯৬৩ সালে ভাইস-চেয়ারম্যান পদটি বিলুপ্ত করা হয়। তারা কৃষি উন্নয়ন, পানি সরবরাহ, শিক্ষা, যোগাযোগ, সমাজ কল্যাণ ইত্যাদি কার্যাবলী উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও সালিশি আদালত গঠন করে বিচার বিভাগীয় ক্ষমতা দেওয়া হয় এবং 1961 সালে মুসলিম পারিবারিক ও বিবাহ আইন অধীন সদস্যদের বিচার করার জন্য চতুর্ভুজী কর ছাড়া সম্পত্তি উপর কর এবং অন্যান্য করপোরেশন ক্ষমতা দেওয়া হয়। এছাড়াও পল্লীফর্ম কর্মসূচী অধীন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ইউনিয়ন কাউন্সিলকে তহবিল গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ ইউনিয়ন কাউন্সিলকে তহবিল গঠনের জন্য চৌকিদারি কর ছাড়াও সম্পত্তির উপর করসহ অন্যান্য করপোরেট ক্ষমতা দেওয়া হয়। এছাড়াও পল্লীফর্ম কর্মসূচী অধীন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ইউনিয়ন কাউন্সিলের অফিস ভবন বা অন্যান্য কাজের জন্য সরকার থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ইউনিয়ন কাউন্সিলসমূহ সরকারী কর্মকর্তাদের আধিপত্য, সদস্যগণ সরকারী এজেন্ট হিসাবে কাজ করে আর্থিক দুর্বলতা এবং দুর্নীতির কারণে এবং দৃঢ় নেতৃস্থানীয় অভাব বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। ফলে এগুলি সঠিকভাবে পালন করা পালনে অধিকাংশ সময় ব্যর্থতা পরিচিতি দেয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা উত্তরপূর্বে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ৭, ১৯৭২ টি ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করা হয়। ইউনিয়ন কাউন্সিলের নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন পঞ্চায়েত এবং একটি প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২২, ১৯৭৩ অনুসারে ইউনিয়ন পঞ্চায়েতের নাম পরিবর্তন করে এর নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ।